আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে শাসক দল বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে। একদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ‘নমো’ অ্যাপ অন্যদিকে, কংগ্রেসের ‘আইএনসি’ অ্যাপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, অনড্রয়েডে ‘নমো’ অ্যাপ ৫০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। বহু নাগরিকই নিজের মোবাইলে ‘নমো’ অ্যাপ ইনস্টল করেছেন। ইউজাররা সেই অ্যাপে নিজেদের সম্পর্কে যেসব তথ্য দিচ্ছেন, তা সবই একটি মার্কিন সংস্থার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, ‘আইএনসি’ অ্যাপ থেকেও একইভাবে তথ্য সিঙ্গাপুরে পৌঁছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী গতকাল (রোববার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘হাই! আমার নাম নরেন্দ্র মোদী। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যখন আপনারা আমরা অফিশিয়াল অ্যাপে সাইন আপ করেন, তখন আমি আপনাদের সম্পর্কে সব তথ্য মার্কিন সংস্থায় আমার বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিই।’
অন্যদিকে, আজ (সোমবার) বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বশীল অমিত মালব্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘হাই! আমার নাম রাহুল গান্ধী। আমি ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের সভাপতি। যখন আপনারা আমার অফিশিয়াল অ্যাপে সাইন আপ করেন, তখন আমি আপনাদের সম্পর্কে সব তথ্য সিঙ্গাপুরে আমার বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিই।’
এসবের মধ্যেই আজ কংগ্রেসে অ্যাপটি সাময়িকভাবে অকেজো করে দেয়া হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে সাফাই দিয়ে ওয়েবসাইটে কিছু পরিবর্তনের কাজ চলেছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আজ রাহুল গান্ধী নয়া অভিযোগে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলেন এমন একজন ‘বিগ বস’ যিনি ভারতবাসীর ওপর গোয়েন্দাগিরি করা পছন্দ করেন। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদের অপব্যবহার করে সরকারের প্রচার করা ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে সংগৃহীত কোটি কোটি ভারতীয়ের তথ্য নিয়ে একটি নিজস্ব ডাটাবেস তৈরি করছেন। রাহুল বলেন, এসব তথ্য ভারতের, মোদির নয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের সঙ্গে তিনি যদি সংযোগ স্থাপন করতে চান, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তাহলে তিনি ‘পিএমও অ্যাপ’ ব্যবহার করুন। সূত্র: পার্সটুডে